Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2018
ঘটনাটা হয় ঘরে l প্রথম ঘটনাটা হয় ঘরে, আমি ঘুমিয়ে আছি আমাকে কেউ যেন বলছে তুমি কি কাজ টা ভাল করলা আমি তো তোমার বন্ধু, ঘুম থেকে উঠে কাউকে দেখি না । কথাটা আম্মা কে বললাম কিন্তু কেউ কিছু বুঝলাম না । তার পর কিছু দিন কেটে যায়… । আরেক রাতে মনে হল আমাকে কে যেন বলছে তুমি আজ তোমার বিছানায় ঘুমাবে না । তোমার বিপদ হবে, কি মনে করে যেন আমি অন্য বিছানায় ঘুমাই । সেদিন রাতে আমাদের রান্না ঘরে আগুন লেগে যায় । সব চেয়ে ভয়ের কথা হল রান্না ঘরটা আমার রুমের পাশে আর আগুন লেগেছে আমার রুমের পাশেই । আমি অবাক হয়ে গেলাম যে রাতে কে আমাকে ঐ কথা বলেছিল । আপা কে বললাম আপা বললেন এটা জ্বীন,সে আমার বন্ধু হতে চায় । আমি আপাকে বললাম কথাটা আর কাউকে না বলতে । আসার সময় আপা আমাকে বললেন তোমার শরীর তো এমনিতে বন্ধ করা কিন্তু তুমি যদি কাউকে আসার সুযোগ দাও তা হলে সে তোমার ক্ষতি করতে পারবে । তবে এ থেকে বাঁচার একটা উপায় আছে তুমি যদি তোমার হাতে কোন বন্ধনি রাখ (যেমন ঘড়ি,সুতা আংটি ব্রেসলেট) তা হলে সে তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না । যতক্ষণ তোমার হাতে ঐ জিনিস গুলো থাকবে । আমি চলে আসলাম, তার কয়েক মাস কোন ঘ...
ঘটনাটি আমার কাকার মুখ থেকে শোনা।   ঘটনাটি আমার কাকার মুখ থেকে শোনা। আমার কাকার গ্রামের বাজারে একটা মুদি দোকান আছে। সেখানে হাটের দিন অনেক রাত পর্যন্ত বেচা কেনা হয়। কাকা মাঝে মাঝে আসতে আসতে নাকি রাত ১-২ টাও বেজে যেত। কাকার দোকানে সেলিম নামের এক কর্মচারী কাজ করতো। সে কথা বলতে …পারতো না। মানে, বোবা ছিল। কাকা তাকে খুবই আদর যত্ন করতো। সেলিমের তিনকুলে কেউ নেই। সে তার দুঃসম্পর্কের এক মামার বাড়িতে থাকতো। সেই লোক মারা যাওয়ার পর না খেয়ে ছিল। কাকার দয়া হয়। নিজের দোকানে তাকে কাজ দেন। সেলিম আমার দাদু বাড়িতেই থাকতো। কাকার সাথেই রাতে বাজার থেকে ফিরত। কাকা প্রায়ই বলতেন, সেলিম ছেলেটাকে দেখে উনার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়। উনি নাকি অনেকদিনই শুনেছেন গভীর রাতে সেলিমের ঘর থেকে কথাবার্তার আওয়াজ পাওয়া যায়(এমনকি কাকিমা নিজেও শুনেছেন)। কিন্তু সেলিম নিজে বোবা। তার কথা বলার প্রশ্নই আসে না। একরাতে কাকা অনেক দেরি করে বাসায় ফিরছিলেন। সেদিন হাটবার ছিল তাই বাজারে লোকজনও ছিল বেশি। তাই দোকান বন্ধ করতে করতে সময়ও লাগে বেশি। কাকা বাড়ির পথ ধরেন রাত ১টার কিছু পরে। সাথে সেলিম। আগামীকাল বাসায় মে...
গল্পটি নিছক গল্প নয় সত্য ঘটনা।   আজকের গল্পটি নিছক গল্প নয় সত্য ঘটনা।ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে সবেমাত্র ডিগ্রিতে নটরডেম কলেজে ভর্তি হয়েছি। উঠতি মাস্তান বোহিমিয়ান। ধরাকে সরা জ্ঞান করা স্বভাবদোষে পরিনত হয়ে গিয়েছিল। সবার চাইতে একটু বেশী বোঝা অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করায় ছিল রাজ্যের আনন্দ। সবার মধ্যেই এই জাতীয় উপসর্গ গুলি এক সময় বাসা বাধে সময়ের প্রবাহে শিক্ষা, জ্ঞান ও পারিপার্শ্বীকতায় ক্রমেই দোষগুলি কাটতে থাকে। অ…তি সাধারন যারা তাদের মধ্যেই এই সকল দোষের প্রাধান্য একটু বেশী লক্ষ করা যায় । তাই আমার দোষের অন্ত ছিল না। এর মধ্যেই অবিশ্বাষীর দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছি, ধর্মের চুলচেরা বিষ্লেশন শুরু করেছি। এলাকারবাঘা বাঘা ধর্ম বিশ্বাষীকে বির্তকের জালে আটকে শিষ্যত্ব বরণে বাধ্য করেছি। তবে আমার ভেতর একটা ছন্নছাড়া ভাব সবসমায় কাজ করত তাই একটি বিষয়ের মধ্যে নিজেকে বেশীদিন আটকে রাখতে পারতাম না। বিষয় ভেদে চালাতাম পরিক্ষা নিরিক্ষা যতদিন ভাল লাগত ততদিন। কিন্তু গুনি মানুষ গুলির বচন ছিল সম্পুর্ন ভিন্ন। তারা বলতেন চর্চা, চর্চা ও চর্চা ছাড়া কোন বিষয়কে আয়ত্ব করা যায় না। কে শোনে কার কথা নিজের ইচ্ছার কাছ...
তখন চলতে ছিল আষাঢ় মাস।   তখন চলতে ছিল আষাঢ় মাস। আষাঢ় মাস ভ্রমনের জন্য মোটেও সুবিধার নয়। যখন তখন বৃষ্টির ফলে রাস্তা-ঘাট কাদায় সয়লাব হয়ে থাকে। তারপরও আমাকে যেতে হয়েছিল। কথা ছিল ভ্রমন সংঙ্গি হিসাবে আমার বাল্যবন্ধু ইমরান থাকবে। কিন্তু যাবার আগের দিন ইমরান আমাকে চৌধুরী সাহেবের বাড়ি যাবার বিস্তারিত ঠিকানাটা হাতে ধরিয়ে দিল। করুন গলায় বললো, দোস্ত প্লিজ তুই একা গিয়ে ঘুরে আয়। আমার অফিসের জরুরী কাজে আমাকে চট্রগ্রাম যেতে হবে। কণে তোর পছন্দ হলে পরের বার আমি আর তুই যাব। ওর এমন অনায্য দাবী শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। সাথে সাথে তির্ব প্রতিবাদ করে বললাম, এটা তোর খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। তুই জানিস আমি কেমন। আমার পক্ষে কিছুতেই অপরিচিত জায়গায় একা যাওয়া সম্ভব নয়। আর নিজের পাত্রী দেখতে যাব নিজেই! ছিঃ কেউ একা কণে দেখতে যায়? আমার ভৎসনায় ওরে খুব বিচলিত দেখায়। ও ভাল করেই জানে মেয়েদের ব্যাপারে আমার সিমাহিন অস্বস্তির কথা। ২৮ বছর পেরিয়ে যাবার পরও মেয়েদের ব্যাপারে আমার লাজুকতা ভয়াবহ পর্যায়ে। কিন্তু ইমরানের নানা যুক্তির কাছে, আর সারা জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুর দাবীর কাছে পরাজয় হয় সব কিছুর। আ...
আমি আগাগোড়াই রাজধানীতে বেড়ে উঠা মানুষ। আমি আগাগোড়াই রাজধানীতে বেড়ে উঠা মানুষ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব ঢাকাতেই ছিল। কিন্তু বর্তমানে চাকুরী করছি ঢাকার বাইরে। মূলত ভালো বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার লোভেই এখানে আসা। আমার পরিচিত বলতে এখানে কেউ নেই। বা-মা, বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন আছি গত মাস-চারেক ধরে। প্রথম প্রথম কয়েকদিন খুব খারাপ লেগেছিল। পরিবারের মানুষগুলোর কাছ থেকে কখনো দূরে থাকতে হয়নি বলে তাদের অভাবও কোনোদিন অনুভব করিনি। আসলে মানুষ যখন নিয়মিত কাউকে দেখে, কারো সাথে মেশে…তার অভাব কখনো বোধ করেনা বরং তার নিয়মিত উপস্থিতিই মাঝে মধ্যে একঘেঁয়ে লাগে। আমাদের কোম্পানীতে স্টাফদের থাকার জন্য একটি আলাদা কোয়াটারের ব্যবস্থা আছে। সমস্যা একটাই, তা হল-এক রুম দুজনকে শেয়ার করতে হয়। আমার রুমমেট হলেন আদিল ভাই। তিনি আমার ডিপার্টমেন্টেই কাজ করেন। আদিল ভাইকে পছন্দ করে এমন একজন লোকও অফিসে নেই। অপছন্দের কারনটা ২-১দিনের মাথায় বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম। উনি কখনোই কোনো কথা সোজা ভাবে বলেন না। প্রত্যেকটা কথার মধ্যে একটা খোঁচা থাকবেই। আকার-ইঙ্গিতে, ...