ঘটনাটা হয় ঘরে l প্রথম ঘটনাটা হয় ঘরে, আমি ঘুমিয়ে আছি আমাকে কেউ যেন বলছে তুমি কি কাজ টা ভাল করলা আমি তো তোমার বন্ধু, ঘুম থেকে উঠে কাউকে দেখি না । কথাটা আম্মা কে বললাম কিন্তু কেউ কিছু বুঝলাম না । তার পর কিছু দিন কেটে যায়… । আরেক রাতে মনে হল আমাকে কে যেন বলছে তুমি আজ তোমার বিছানায় ঘুমাবে না । তোমার বিপদ হবে, কি মনে করে যেন আমি অন্য বিছানায় ঘুমাই । সেদিন রাতে আমাদের রান্না ঘরে আগুন লেগে যায় । সব চেয়ে ভয়ের কথা হল রান্না ঘরটা আমার রুমের পাশে আর আগুন লেগেছে আমার রুমের পাশেই । আমি অবাক হয়ে গেলাম যে রাতে কে আমাকে ঐ কথা বলেছিল । আপা কে বললাম আপা বললেন এটা জ্বীন,সে আমার বন্ধু হতে চায় । আমি আপাকে বললাম কথাটা আর কাউকে না বলতে । আসার সময় আপা আমাকে বললেন তোমার শরীর তো এমনিতে বন্ধ করা কিন্তু তুমি যদি কাউকে আসার সুযোগ দাও তা হলে সে তোমার ক্ষতি করতে পারবে । তবে এ থেকে বাঁচার একটা উপায় আছে তুমি যদি তোমার হাতে কোন বন্ধনি রাখ (যেমন ঘড়ি,সুতা আংটি ব্রেসলেট) তা হলে সে তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না । যতক্ষণ তোমার হাতে ঐ জিনিস গুলো থাকবে । আমি চলে আসলাম, তার কয়েক মাস কোন ঘ...
ঘটনাটি আমার কাকার মুখ থেকে শোনা। ঘটনাটি আমার কাকার মুখ থেকে শোনা। আমার কাকার গ্রামের বাজারে একটা মুদি দোকান আছে। সেখানে হাটের দিন অনেক রাত পর্যন্ত বেচা কেনা হয়। কাকা মাঝে মাঝে আসতে আসতে নাকি রাত ১-২ টাও বেজে যেত। কাকার দোকানে সেলিম নামের এক কর্মচারী কাজ করতো। সে কথা বলতে …পারতো না। মানে, বোবা ছিল। কাকা তাকে খুবই আদর যত্ন করতো। সেলিমের তিনকুলে কেউ নেই। সে তার দুঃসম্পর্কের এক মামার বাড়িতে থাকতো। সেই লোক মারা যাওয়ার পর না খেয়ে ছিল। কাকার দয়া হয়। নিজের দোকানে তাকে কাজ দেন। সেলিম আমার দাদু বাড়িতেই থাকতো। কাকার সাথেই রাতে বাজার থেকে ফিরত। কাকা প্রায়ই বলতেন, সেলিম ছেলেটাকে দেখে উনার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়। উনি নাকি অনেকদিনই শুনেছেন গভীর রাতে সেলিমের ঘর থেকে কথাবার্তার আওয়াজ পাওয়া যায়(এমনকি কাকিমা নিজেও শুনেছেন)। কিন্তু সেলিম নিজে বোবা। তার কথা বলার প্রশ্নই আসে না। একরাতে কাকা অনেক দেরি করে বাসায় ফিরছিলেন। সেদিন হাটবার ছিল তাই বাজারে লোকজনও ছিল বেশি। তাই দোকান বন্ধ করতে করতে সময়ও লাগে বেশি। কাকা বাড়ির পথ ধরেন রাত ১টার কিছু পরে। সাথে সেলিম। আগামীকাল বাসায় মে...